শনিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১৬ই ভাদ্র ১৪৩১
২ মিনিটে পড়ুন
বৈশাখ মাসে বজ্রপাত ও অতিবৃষ্টির সময় কৈ মাছ উপরে উঠে আসার পেছনে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত কারণ রয়েছে। সাধারণত কৈ মাছ পানির নিচের স্তরে বা মাটির কাছাকাছি থাকে, যেখানে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা এবং খাদ্য সহজলভ্য থাকে। তবে বৈশাখ মাসে অতিবৃষ্টির ফলে জলাশয়ের পানি দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায় এবং পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই পরিস্থিতি কৈ মাছের জন্য আরও উপযোগী হয়ে ওঠে, কারণ তারা ঠান্ডা পানিতে বেশি সক্রিয় থাকে এবং এ সময়ে খাদ্যের সন্ধানে তারা উপরের দিকে উঠে আসে।বজ্রপাতের সময় পানিতে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ সৃষ্টি হয়, যা পানির বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করে।বৈদ্যুতিক প্রভাব মাছের শরীরে একটি তাড়িত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা তাদের স্বাভাবিক অবস্থান থেকে বিচ্যুত করে এবং তারা উপরের দিকে উঠে আসে। বজ্রপাতের সময় সৃষ্ট শব্দ ও কম্পন মাছের মধ্যে ভীতি বা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে, যা তাদেরকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চলাচল করতে বাধ্য করে। এছাড়া, বজ্রপাতের কারণে পানির রাসায়নিক গঠন বা পিএইচ মাত্রায় পরিবর্তন হতে পারে, যা কৈ মাছের শরীরে শ্বাস প্রশ্বাসের প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ার মতো বাধ তৈরি করতে কত টাকা খরচ হতে পারে?
অতিবৃষ্টির ফলে পানির প্রবাহের ধরণেও পরিবর্তন আসে। বর্ষার সময় পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে মাছের জন্য খাদ্যের প্রাপ্যতা বাড়ে, কারণ বৃষ্টির পানি সাথে করে মাটি ও ছোট ছোট জীবাণু নিয়ে আসে, যা মাছের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছের জন্য নতুন নতুন স্থান উন্মুক্ত হয় এবং তারা সহজেই খাদ্যের সন্ধানে সেইসব স্থানে চলে আসে। বজ্রপাত এবং অতিবৃষ্টির এই প্রভাবগুলো একত্রে কাজ করে কৈ মাছের আচরণে পরিবর্তন আনে এবং তাদেরকে পানির উপরের স্তরে উঠে আসতে প্রভাবিত করে। এ কারণেই বৈশাখ মাসে এই ঘটনা বেশি পরিলক্ষিত হয়।
আরও পড়ুন : পিলখানা ট্র্যাজেডির কিছু অপ্রকাশিত ছবি।
1 মন্তব্যসমূহ
Koi mas dorte amir sai lage
উত্তরমুছুন