শনিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১৬ই ভাদ্র ১৪৩১
২ মিনিটে পড়ুন
বিদ্যুৎ চমকালে (যাকে আমরা বজ্রপাত বলি) পৃথিবীতে আঘাত হওয়ার প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
চার্জের সৃষ্টি: মেঘের মধ্যে বাতাসের ঘর্ষণের কারণে ইলেকট্রন এবং অন্যান্য কণা চলাচল করে, যার ফলে মেঘের একাংশে ঋণাত্মক চার্জ এবং অপর অংশে ধনাত্মক চার্জ সঞ্চিত হয়। সাধারণত, মেঘের নিম্নভাগে ঋণাত্মক চার্জ এবং উপরের দিকে ধনাত্মক চার্জ থাকে।
ভূমিতে চার্জ সঞ্চয়: মেঘের নিচের অংশে ঋণাত্মক চার্জ সঞ্চিত হওয়ার কারণে ভূমির উপরের অংশে ধনাত্মক চার্জ আকৃষ্ট হয়।
আরও পড়ুন : পিলখানা ট্র্যাজেডির কিছু অপ্রকাশিত ছবি।
চার্জের নির্গমন: মেঘ এবং ভূমির মধ্যে চার্জের পার্থক্য যখন খুব বেশি বেড়ে যায়, তখন মেঘ থেকে ভূমিতে একটি তীব্র বৈদ্যুতিক নির্গমন ঘটে। এটাকেই বজ্রপাত বলা হয়।
বজ্রপাতের ধাক্কা: বজ্রপাতের ফলে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী বৈদ্যুতিক প্রবাহ ভূমিতে নেমে আসে, যা প্রচণ্ড শব্দ এবং আলো তৈরি করে। এই বৈদ্যুতিক প্রবাহ বা বিদ্যুৎ সরাসরি যেখানেই আঘাত করে, সেখানে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে, যেমন গাছ পুড়ে যাওয়া, ভবন ধ্বংস হওয়া, এবং মানুষের দেহে গুরুতর আঘাত লাগা।
এভাবে বিদ্যুৎ চমকালে পৃথিবীতে আঘাত হয় এবং এর ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগ ঘটতে পারে|
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ার মতো বাধ তৈরি করতে কত টাকা খরচ হতে পারে?
0 মন্তব্যসমূহ